General

অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম কত – ২০২৩

A worker refilling oxygen cylinders at an oxygen plant.

অক্সিজেন সিলিন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাগত উপাদান, যা রোগীদের অনেক সময় প্রয়োজন হয়। বিশেষভাবে করোনা প্রাদুর্ভাবের সময়ে, অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার একটি জীবন রক্ষা উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই সময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম সম্পর্কে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। এই লেখাটি মূলত বাংলাদেশে ২০২৩ সালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম সম্পর্কে আলোচনা করবে।

প্রথমত, অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম প্রধানভাবে বিভিন্ন সাপ্লাই কোম্পানি এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে। এই দামের পরিবর্তন সময়ের সাথে সাথে হয় না, তার জন্য সরকার নির্ধারণ করে থাকে না। অতএব, এটি প্রতি সময় চলমান মার্কেট মূল্যে পরিবর্তন হয় এবং সাপ্লাই চেইনের কিছু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত।

বাংলাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম ব্যাপকভাবে পরিবর্তনশীল। এই পরিবর্তন মূলত আমদানি ও পরিবহন চেইনের মাধ্যমে ঘটে। তবে, এখানে কিছু সাধারণ ধারণা দেওয়া যাক, যা বাংলাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দামের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে:

  1. সিলিন্ডারের ধরণ: অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম সিলিন্ডারের আকার, ধরণ এবং ধরণের প্রযুক্তি এবং মেটারিয়ালের উপর নির্ভর করে। ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি পেতে বৃদ্ধি সাইজের সিলিন্ডার প্রয়োজন হতে পারে, যা দাম বাড়ায়।
  2. সাপ্লাই কোম্পানি: বাংলাদেশে অনেক সাপ্লাই কোম্পানি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করে। প্রতিটি কোম্পানি তাদের নিজস্ব মূল্যে সিলিন্ডার বিক্রি করে এবং সেই মূল্য প্রতি সিলিন্ডারে পরিবর্তন করতে পারে।
  3. জরুরী সরকারি নির্দেশনা: সরকার কর্তৃক সময়ের সাথে সময়ের মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দামের সম্পর্কে নির্দেশনা জারি করতে পারে।
  4. প্রাকৃতিক দ্রব্য মূল্য: অক্সিজেন সিলিন্ডার তৈরির জন্যে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়, যা তার মূল্যের বেড়ে চলে।
  5. আপেক্ষিক আগ্রহ: যখন অক্সিজেন সিলিন্ডারে বেশি আপেক্ষিক আগ্রহ হয়, তখন দাম আরও বাড়তে পারে।

বিশেষভাবে, প্রথম এই লেখাটি লেখা হয়েছে, তার সময়ে করোনা প্যান্ডেমিকের সময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম বেড়ে চলেছে। প্রথমে, এই প্যান্ডেমিকের সময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের বৃদ্ধি প্রয়োজন হয়েছে, তার ফলে প্রকৃতপক্ষে বাজারে সাপ্লাই মাত্রা ঘটে নি। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে আমদানি ও পরিবহন চেইনে সমস্যার কারণে অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রাইস বেড়ে চলেছে।

অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?

অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। 

  •  ডাক্তারেরে পরামর্শ অনুযায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার নির্বাচণ করতে হবে।
  • প্রতি মিনিটে কত লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হবে বা এলপিএম এর সাথে মিলিয়ে কিনতে হবে। 
  • অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ড্রাগ লাইসেন্স নম্বর অবশ্যই দেখে কিনতে হবে। কারন, মানুষের ব্যবহারের জন্য যে সকল অক্সিজেন তৈরি হয় সেগুলতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ড্রাগ লাইসেন্স নম্বর থাকে। অন্যদিকে, শিল্পকারখানায় ব্যবহারকৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার গুলোতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ড্রাগ লাইসেন্স নম্বর থাকে না
  • অক্সিজেনের উৎপাদন মেয়াদ দেখে কিনতে হবে।
  • প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ক্যানোলা বা অক্সিজেন মাস্ক কিনতে হবে।
  • যদি শুধু জরুরি প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয় তাহলে পোর্টেবল বা মিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার চেষ্টা করুন। তাহলে, যেকোন যায়গায় বহন করেত সহজ হবে।

সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডার এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে এবং এই সিলিন্ডারের দাম প্রশ্নের একটি মুখ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতএব, রোগীদের জন্য এই সিলিন্ডার দাম নিয়ে জানা গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যায় কোথায় তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। মূলত, অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রাপ্ত করার জন্যে আপনাকে স্থানীয় অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহকারী বা আপনার স্থানীয় হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। অক্সিজেন সিলিন্ডারের মূল্য এবং সিলিন্ডার এর দাম তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়।

সামান্য অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম তৈরি করে দেয়া হয়ে থাকে বাংলাদেশে, যার মূল্য সম্পর্কে আপনি স্থানীয় সরকারি অথবা বেসরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করে জানতে পারেন।

সম্পর্কিতভাবে, অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম বাংলাদেশে প্রতিদিনের প্রথম লাইনে যাওয়া হয় এবং এই দামের বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিষ্ঠানিক নির্ধারণ ব্যবস্থাও আছে। এছাড়া, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য প্রশাসন প্রধানভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দামের সম্পর্কে নির্ধারণ করে দেয়।

সব কিছুর উপর নির্ভর করে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং সময়ের সাথে সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দামের পরিবর্তন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তবে, আপনি স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রশাসন বা সিলিন্ডার সরবরাহকারী সংস্থা সহ প্রাথম লাইনে যোগাযোগ করে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম জেনে নিতে পারেন।

অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম কত? Given Bellow

Dhaka অক্সিজেন সিলিন্ডারের ভিতরে অক্সিজেনের পরিমাণ ও প্রতি মিনিটে কত লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে তার উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারিত হয়। বিডিতে সাধারণত ২০,০০০ লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার বেশি পাওয়া যায় যার দাম ১৮,০০০ টাকা থেকে ২২,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এলপিএম এর উপর ভিত্তি করা দামের তারতম্য দেখা যায়। আবার, চায়না ব্র্যান্ডের অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো ৬,০০০ টাকা থেকে ১২,৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে কোন ধরনের অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়?

বাংলাদেশের মেডিকেল গুলোতে সাধারণত স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো তুলনামূলক হালকা বিধায় সহজে বহন করা যায়। তবে, উভয় সিলিন্ডারে ৯৯.৫% বিশুদ্ধ অক্সিজেন থাকে যা হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য উপযোগী। আবার, অনেক অক্সিজেন সিলিন্ডার আকারে ছোট হয় বিধায় মিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার নামে পরিচিত। অন্যদিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন সিলিন্ডার গুলোতে ৯০% এর কম বিশুদ্ধ অক্সিজেন থাকে যা শুধুমাত্র শিল্পকারখানায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *